|| শরীর সুস্থ রাখার দশটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ||
আজকাল এই ব্যস্ততার জীবনধারায় আমরা আমাদের জীবনের খুব সামান্য জরুরী জিনিসকে পর্যন্ত উপেক্ষা করে চলে যায়। সকালে অফিস, নিজের ব্যবসা বা অন্য কোন কাজের জন্য তাড়াতাড়ি খাবার খেতে হয়। আর এই তাড়াতাড়ির জন্য যেকোনো কিছু খেয়ে চলে যায়। এই তাড়াতাড়ি খাওয়ার জন্য আমরা এটা কেউ ভাবি না, শরীরের পুরো অংশ পেয়েছে কিনা। আর এই জিনিসটাই আমাদের শরীরকে খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ করে। আবহাওয়া পরিবর্তন হলেও অসুস্থ। আজ সর্দি, কাল জ্বর, পরশু অন্যকিছু। আর আমরাও এতটা স্মার্ট হয়ে গেছি যে, অসুস্থ হলেই কিছুদিনের ছুটি নিই, আর ডাক্তারের থেকে কিছু ওষুধ নিলেই একদম ঠিক। কিন্তু আপনি যদি আপনার ভোজনে কিছু জিনিস যুক্ত করেন, তাহলে আপনার সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তাহলে জেনে নিন, সেই জিনিস গুলো যেগুলো আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেম মজবুত করবে। তার সাথে আপনাকে ছোটখাটো রোগ থেকে দূরে রাখবে।
শরীরকে সুস্থ রাখার কিছু উপায় :-
আমলকি :- আমলকিতে অধিক মাত্রায় খুব জরুরী পরিপোষক পদার্থ থাকে। যদি আপনি আমলকি যেকোনো ভাবে সেটা মোরব্বা বা অন্য কিছু হোক না কেন খাওয়ার সময় ব্যবহার করা শুরু করে দিন। তাহলে আপনার রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, চেহারায় উজ্জ্বলতা আনবে এবং আপনার বয়সও কম লাগবে।আর নিজেকে সব সময় তরুণ অনুভব করবেন।
মেথি :- মেথির দানা টুকরো করে জলে দিয়ে ফুটিয়ে খান অথবা রাতে কোন পাত্রে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে উঠে সেটাকে ছেঁকে জল খেয়ে নিন। এতে আপনার কোলেস্ট্রেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া এটা সুগার বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অমৃতের মতো কাজ করে। যদি আপনার কোনো রোগ নাও থাকে, তাও আপনি নিয়মিত খান। তাহলে আপনাকে অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচাবে।
ঘোল :- আপনারা সবাই জানেন ভারত একটি কৃষি প্রধান দেশ। আর এখানে প্রথম থেকেই দুধ এবং দই ভরপুর মাত্রায় পাওয়া যায়। এজন্য আমাদের দাদুরা বা অন্যান্য বয়স্ক মানুষরা সুস্থ থাকেন। এর কারণ তাদের খাবারে পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘোল থাকতো। আপনিও রোজ নিয়মিত ঘোল খেতে থাকলে অনেক রোগের থেকে দূরে থাকবেন।
হরিতকী :- খাওয়ার পরে হরিতকী আপনার মুখের মধ্যে নিয়ে ধীরে ধীরে চুসতে থাকুন। তাহলে আপনার পাচনতন্ত্র মজবুত হবে এবং পেট সুস্থ থাকবেন।
দারুচিনি এবং মধু :- দারুচিনির প্রয়োগ সর্দি হলে করা উচিত। আর রোজ নিয়মিত এক-দুবার দারুচিনি খেতে থাকুন। আর যদি মধুর সাথে খান তাহলে তো কোনো ব্যাপার-ই না।
নাকে তেল-এর প্রয়োগ :- রাতে শোয়ার সময় নাকে সর্ষের তেল বা ঘি ৩-৪ ফোটা ঢেলে দিন। তাহলে আপনার শ্বাস সম্বন্ধিত কোনো সমস্যা হবে না। এছাড়া সর্দি-ঠান্ডা লাগবে না, আপনার গলার আওয়াজ মধুর হবে এবং মস্তিস্ক শান্ত থাকবে।
কানে তেল-এর প্রয়োগ :- গরমের সময় ঠান্ডা এবং শীতের সময় গরম সরষের তেল এক-দুই সপ্তাহে একবার করে দিতে থাকলে আপনার কানের সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
রসুন :- আপনি রাতে খাওয়ার সময় রসুনের একটা বা দুটো কোয়া খাওয়া শুরু করে দেন। তাহলে হার্টের সমস্যা, হাড়ের জোড়ায় ব্যথা, এছাড়া এমনকি আপনাকে ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
তুলসী পাতা :- যখন সুস্থ থাকার কথা হয় তখন তুলসী পাতা-কে তো আমরা ভুলতেই পারি না। যদি আপনি আপনার খাবারে তুলসির প্রয়োগ শুরু করে দেন, তাহলে আপনাকে কোনো রোগ ছুঁতে পারবে না। চায়ের সাথে অথবা অন্যকিছু সাথে ৪-৫ টা তুলসী পাতা রোজ নিয়মিত খেলে আপনাকে ছোট ছোট রোগ তো দূরের কথা, বড় বড় রোগও ছুঁতে পারবে না।
শুকনো আদা :- আপনি এক চামচ শুকনো আদার গুঁড়ো এবং অল্প পরিমাণ গুড় নিয়ে এক গ্লাস জলে ফোটাতে থাকুন। ততক্ষণ ফোটাবেন যতক্ষণ না জল অর্ধেক হয়ে যায়। আর ঠান্ডা হয়ে গেলে প্রতিদিন রাতে নিয়মিত শোয়ার আগে খেলে ঠান্ডা, সর্দি, জ্বর, কাশি ইত্যাদি ছোটখাটো রোগ হবে না।
তাহলে এই ছিল শরীর সুস্থ রাখার কয়েকটি পরামর্শ। যদি আপনি এগুলো রোজ নিয়মিত প্রয়োগ করেন তাহলে আপনাকে কোনোদিন কোনো রোগ ছুঁতে পারবে না। আপনি এগুলো পুরো বিশ্বাসের সাথে প্রয়োগ করতে পারেন।
এরকম আরো অন্যান্য আয়ুর্বেদিক টিপস সম্পর্কে জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
Leave a Reply